করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার ঘিরে উত্তেজনা বাঁকুড়ার জয়পুরে

13th August 2020 10:23 am বাঁকুড়া
করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার ঘিরে উত্তেজনা বাঁকুড়ার জয়পুরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক ব্যাক্তির মৃতদেহ সৎকারের চেষ্টা করছে পুলিশ।  এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল রাত্র রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁকুড়ার জয়পুর থানার চেক পোস্ট এলাকা ।  গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। চলে জনতা পুলিশ খন্ডযুদ্ধও । ঘটনায় দুজন পুলিশ কর্মী আহত হন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল ওন্দা কোভিড হাসপাতালে মারা যান জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড এলাকার বাসিন্দা জিতেন মন্ডল।  জয়পুরের জঙ্গলে রাতের অন্ধকারে পুলিশ ও প্রশাসন ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ সৎকারের চেষ্টা করছে গতকাল রাতে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গল লাগোয়া আশপাশের গ্রামগুলিতে। এরপরই করোনা আক্রান্তর মৃতদেহ তাঁদের এলাকায় সৎকার করা চলবে না এই দাবি তুলে জয়পুর চেক পোস্টের কাছে বিষ্ণুপুর জয়পুর সড়ক  অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুক্ষন অবরোধ চলার পর পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয়ে যায় জনতা পুলিশ খন্ডযুদ্ধ।  ঘটনায় দু'জন পুলিশ জখম হন। এরপরই পুলিশ  লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীও আহত হয়েছেন বলে দাবি।  স্থানীয়দের আশঙ্কা এইভাবে রাতের অন্ধকারে অন্য জায়গা থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির মৃতদেহ এনে এলাকায় সৎকার করা হলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। তাই কোনোভাবেই এলাকায় ওই ধরনের মৃতদেহ সৎকার করা চলবে না বলে দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।